বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৯

শ্রীশ্রীপ্রচন্ডিকাপুরাণ

 শ্রীশ্রীপ্রচন্ডিকাপুরাণ
-শুভাশিস ঘোষাল 
কথিত আছে দেবী প্রচন্ডিকার মাহাত্ম্য কীর্তনে শত অশ্বমেধযজ্ঞের পুণ্যলাভ হয়। সেই কাহিনী এইস্থানে সরল গদ্যে বর্ণনা করা হইল।
একদা বঙ্গদেশে রাষ্ট্রবিপ্লবের সূচনা হইলে নেতৃস্থানীয় সুশীল নাগরিকবৃন্দ ব্রহ্মার নিকট উপস্থিত হইয়া নিবেদন করিলেন, “হে প্রজাপতি, আমরা সুদূর বঙ্গদেশ হইতে বহু কায়ক্লেশে পদযাত্রা করিয়া নিতান্ত প্রয়োজনে আপনার সন্নিকটে এক বিশেষ প্রার্থনা লইয়া আসিয়াছি । আমাদিগের দেশ সুজলাসুফলা শস্যশ্যামলা হওয়া সত্বেও আমরা নাগরিকেরা উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে নিতান্ত দুর্দশায় কালাতিপাত করিতেছি । রাজ্যশাসনে গতির অভাবে ও ভুলনীতির প্রয়োগে সমগ্র দেশ উন্নতিহীন হইয়া স্থবিরতাপ্রাপ্ত হইয়াছে। উপরন্তু শাসকগণ নাগরিকগণের ভূমি করায়ত্ত করিতে উদ্যত হইলে দেশে অস্থিরতা শুরু হইয়াছে। হে সৃষ্টিকর্তা, আপনার অসাধ্য কিছুই নাই। আপনি অনুগ্রহ করিয়া এক সর্বগুণান্বিত নেতা সৃষ্টি করিয়া বঙ্গদেশকে উপহার দিন যিনি এই অচলাবস্থার পরিবর্তন ঘটাইয়া দেশকে কুম্ভীপাক হইতে রক্ষা করিবেন। অন্যথায় আমরা সকলে অন্নজল ত্যাগ করিয়া এই তুষাররাজ্যে নিদারুণ শীতে প্রায়োপবেশণে প্রাণত্যাগ করিব।“
প্রার্থনা শুনিয়া চতুরানন ব্রহ্মার করুণার উদ্রেক হইল । কহিলেন, “হে ভক্তবৃন্দ, মনস্তাপ পরিহার কর । শীঘ্রই পবিত্র যজ্ঞাগ্নি হইতে দেবী প্রচন্ডিকা উদ্ভুতা হইবেন। ভারতরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক ও মনীষীগণ দেবীকে তাহাদের নিজগুণাবলীতে ভূষিত করিয়া সর্বগুণান্বিত করিবেন । দেবী স্বয়ং বঙ্গদেশে উপস্থিত হইয়া অচলায়তন সরাইয়া শাসনভার গ্রহণ করিবেন ও সমগ্র ক্লেশ দূরিভূত করিয়া অখন্ড শান্তি আনয়ন করিবেন । তোমরাও অতি অবশ্যই দেবীর সেবায় নিয়োজিত হইও ও দেবীর সকল প্রিয়কার্য সম্পন্ন করিও। প্রতিদানে দেবীও তোমাদিগকে নানাপ্রকার উপাধীতে ভূষিত করিবেন ও পারিতোষিক বিতরন করিবেন।“
ব্রহ্মার আশ্বাস পাইয়া নাগরিকগণ পুলকিতচিত্তে রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করিলেন ও দেবীর আবির্ভাবের নিমিত্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান রহিলেন । ইত্যবসরে ব্রহ্মা দেবকর্মকার বিশ্বকর্মাকে স্মরণ করিলেন।
বিশ্বকর্মা উপস্থিত হইয়া প্রজাপতিকে প্রণাম করিয়া কহিলেন, “প্রভু, আদেশ করুন সেবক কি প্রিয়কার্য সম্পন্ন করিবে?”
ব্রহ্মা কহিলেন, “হে বিশ্বকর্মা, বঙ্গদেশের নাগরিকেরা নিতান্ত দুঃখে কালাতিপাত করিতেছে । তুমি দেবী প্রচন্ডিকার সৃষ্টি কর এবং ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিক ও মনীষীগণকে আমন্ত্রণ কর দেবীকে তাহাদের গুণাবলী দান করিবার জন্য।“
অতঃপর ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মা হোমানল প্রোজ্জ্বলিত করিলে এক ধূম্রাকৃতি দেবীরূপ সৃষ্টি হইল। বিশ্বকর্মা তাহার অবয়ব গঠন করিয়া কহিলেন, “হে পিতামহ, দেবী খুবই সুকঠিনা হইবেন। মাসাধিককাল অনশনেও কোনোরূপ দেহক্ষয় হইবে না, ধমনীর গতি চতুঃচত্বারিংশে নামিয়া গেলেও কিছুমাত্র ক্লেশ হইবে না, উপরন্তু উত্তরীয় দ্বারা গ্রীবা বেষ্টন করিয়া উপলখন্ড হইতে ঝুলনেও ক্ষতির কোনোরূপ সম্ভাবনা নাই।“
অতঃপর ব্রহ্মার আদেশে সমগ্র রাজনীতিকেরা সারিবদ্ধ হইয়া তাহাদিগের নিজ নিজ শ্রেষ্ঠগুণাবলীতে দেবীকে সুসজ্জিত করিতে লাগিলেন । শশী থারুর দেবীকে ফেসবুক-ইন্স্টাগ্রাম-ট্যুইটারাদি [১] বিদ্যায় পারদর্শী করিলেন।
দেবী অতঃপর জয়ললিতার সংগ্রহশালা হইতে সেফটিপিন [২] দ্বারা যুক্ত একজোড়া ছিন্ন নীল-শ্বেত হাওয়াই চটিকা পরিধান করিয়া এক যন্ত্রচালিত দ্বিচক্রযানের পশ্চাতে বসিয়া বঙ্গদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রারম্ভ করিলেন। পথিপার্শ্বস্থ সকল সমর্থকবৃন্দ জয়ধ্বনি করিতে লাগিল।
বঙ্গদেশে পৌঁছিবামাত্র নানাবিধ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও ভক্তবৃন্দ জমায়েত হইল এবং দেবীর সেবাকার্যের অঙ্গীকার করিল । প্রখ্যাত এক বায়স-চিত্রশিল্পী দেবীর বিশেষ পরামর্শদাতা হইলেন ও পর্যাপ্ত দেবীকৃপা লাভ করিলেন । বিদেশস্থ একটি মহাবিদ্যালয় দেবীকে বিদ্যাবারিধি উপাধি প্রদান করিয়াছিল , তথাপি নিন্দুকগণ সেই মহাবিদ্যালয়ের অস্তিত্ব লইয়া সংশয় প্রকাশ করিলে দেবী কূপিত হইয়া অভিমানপূর্বক সেই উপাধি জীর্ণবস্ত্রের ন্যায় পরিত্যাগ করিলেন ।
সংগ্রামের প্রথম পর্যায়ে অরাজক শাসককূলের চিত্তশুদ্ধির উদ্দ্যেশ্যে দেবী অনশনব্রত শুরু করিলেন। মাসকালব্যপী সেই অনশন শাসককূলে ত্রাস সঞ্চার করিল, যদিও দেবীর কোনওরূপ দেহক্ষয় হইল না, কারণ দেবী বায়ু হইতেই খাদ্য গ্রহনে সক্ষম ছিলেন। দেবীর শক্তি প্রত্যক্ষ করিয়া তোলাবাজ [৩] সিন্ডিকেট [৪] ইত্যাদি কর্মে রত বলশালী যুবকেরা শাসককূলের পক্ষ ত্যাগ করিয়া দেবীর পক্ষে যোগদান করিল ও অনুগত হইল। দেবীও তাহাদের বরাভয় প্রদান করিলেন ও নিশ্চিন্তে আপন ধর্ম পালনের আদেশ দিলেন।
ইহার পর শুরু হইল মহাসংগ্রাম । দেবী সকল সুশীল ব্যক্তি ও বলশালী যুবকদের সাহায্যে শাসকদিগের পরাভূত করিলেন । সুশীল অনুরাগীদিগের বঙ্গতিলক, বঙ্গমহীরূহ, বঙ্গমহানায়ক ইত্যাদি নানারূপ উপাধিপ্রদান করিয়া ও নানাবিধ পুরষ্কারে ভূষিত করিয়া তাহাদের প্রতিভার প্রতি যথোচিত সুবিচার করিলেন । বলশালী যুবকেরা কিছুমাত্র বঞ্চিত হইল না । তাহাদের যুবকসংঘের জীর্ণ গৃহগুলি সুসজ্জিত হইল । দেবী অতি উৎকৃষ্ট কাব্যচর্চা করিতেন। তাঁহার সৃষ্টি সকল কাব্য বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের আদর্শ উদাহরণ হিসাবে ব্যবহৃত হইতে লাগিল। বিদ্যালয় নিষ্ক্রমণ পরীক্ষায় বিশেষভাবে কৃতকার্যদের দেবী স্বয়ং তাঁহার নিজ কাব্যগ্রন্থ উপহার দিয়া ধন্য করিলেন। রাজধানীর উপকন্ঠে নবনগরীতে ভক্তবৃন্দ দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করিতে চাহিলে দেবী তাহাদের নিতান্ত বঞ্চিত করিলেন না, তবে আপন প্রচারে বিমুখ তিনি সে মূর্তি পশ্চাতের সারিতে রাখিতে আদেশ দিলেন। রাজধানীর বিভিন্ন পথে সুসজ্জিত ত্রিশূলাকৃতি আলোকপ্রদীপ শোভাবর্ধন করিতে লাগিল । চতুর্দিকের অট্টালিকাগুলি দৃষ্টিনন্দন নয়নাভিরাম শ্বেত-নীল রঙে রঞ্জিত হইল। পথের মিলনস্থলগুলিতে সুমধুর সংগীত পথিকগণের পথশ্রম লাঘব করিতে লাগিল। স্থানসকলের নাম পরিবর্তিত হইয়া মনীষীগণের নামে পরিচিত হইল । এইরূপ স্থানমাহাত্ম্যের কারনে উচ্চ আদর্শের প্রসার ঘটিল, ফলে দেশে সুশান্তি প্রতিষ্ঠা হইল। সমস্ত সরণিকে ধরণীতে রূপান্তরিত করা হইল। মাত্র একমাসকালে দশবৎসরের কার্যের ঊনশত শতাংশ সমাপ্ত হইয়া গেল।
রাজ্যে অরণ্যের কিছু অংশে কিছু অধিবাসী একদা মাও নাম্নী এক প্রাচীন চৈনিক সম্রাটের অনুগামী ছিল ও হিংসায় লিপ্ত ছিল। তাহারাও অচিরাৎ হৃদয় পরিবর্তন করিয়া হিংসা পরিত্যাগ করিল। রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে যাহারা আপন রাজ্য প্রতিষ্ঠার দুরভিসন্ধি করিতেছিল, তাহারা অবধি শান্তির বাতাবরনে দ্রবিভূত হইয়া গেল। পর্বত হইতে অরণ্য রাজ্যে সর্বত্র হাস্যকলরব বিস্তৃত হইলে দেবী ট্যুইটার-ফেসবুকে তাহা জনসাধারনকে জানাইলেন।
এতদৃশ অভূতপূর্ব উন্নতি একপ্রকার দুর্জনের ঈর্ষার কারণ ঘটাইল। উহারা দেশের নানাবিধ স্থানে অশান্তির বাতাবরন সৃষ্টি করিতে চাহিল । সেই দুরাত্মারা পরিকল্পিতভাবে নারীনির্যাতনের মিথ্যা কাহিনী রটনা করিতে সচেষ্ট হইল, কিন্তু দেবী যুক্তিজালদ্বারা সেই অপচেষ্টা খন্ডন করিয়া ঘটনাগুলি ক্ষুদ্র এবং পরিকল্পিত প্রতিভাত করিলেন। ফলে উহা সব যে মাওয়ের অনুগামীদের অপপ্রচার, এই বিষয়ে জনসাধারনের মনে আর কোনও সন্দেহ রহিল না । অতঃপর দেবী সর্বত্র শান্তিরক্ষার্থে আপন অবতার সৃষ্টি করিয়া ভাঙ্গড়, পাড়ুই, শিলিগুড়ি ইত্যাদি রাজ্যের নানবিধ স্থানে প্রেরণ করিলেন । এক কুটিলা শিক্ষিকা একদা বিদ্যালয় পরিচালন সমিতিতে অবান্তর প্রশ্ন করিয়া কার্যে বাধাদানের প্রচেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু ভাঙ্গড়ের আরাবুল অবতার এক জলপাত্র নিক্ষেপ করিয়া সেই অপচেষ্টা প্রতিহত করিলেন । পাড়ুইয়ে অনুব্রত অবতার অবশ্য আইনরক্ষকদের প্রতি আগ্নেয়গোলা নিক্ষেপ করিবার পরামর্শ দিয়া জনসাধারনকে হতচকিত করিয়া দিয়াছিল, কিন্তু দেবী যখন সামান্য প্রশ্রয়ের হাসি দিয়া কহিলেন, উহার মস্তিষ্কে অম্লজান অনধিক থাকার কারণে এইরূপ ভ্রান্তি ঘটিয়াছে, তখন জনসাধারন আশ্বস্ত হইল। যাদবনগরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীগণ অধ্যয়ন ভুলিয়া কলরব ও চুম্বন লইয়া ব্যস্ত হইয়াছিল, অভিজিৎ অবতার তাহাদের কিঞ্চিৎ ভর্ৎসনা করিয়া যৌবনের হঠকারিতা বিষয়ে নাতিদীর্ঘ বক্তৃতা দিয়া আইনরক্ষকদের ডাকিয়া কিঞ্চিৎ উত্তমমধ্যম প্রয়োগ করিলে তাহারা নিরস্ত হইল ও পাঠগৃহে ফিরিয়া যাইল।
দৃপ্তসেন নামক এক অত্যন্ত দুষ্ট প্রতারক অধিক সুদের প্রলোভন দেখাইয়া জনসাধারনের নিকট অর্থসংগ্রহ করিতেছিল, যদ্যপি সে অর্থ প্রত্যর্পণের কোনোরূপ বাসনা সেই পাপিষ্ঠের ছিল না। এহেন দুষ্ট অবধি দেবীর সংস্পর্শে আসিয়া তাঁহার স্নেহস্পর্শে পরিবর্তিত হইয়াছিল। একদা দেবীর অংকিত এক চিত্র দেখিয়া সেই দুরাত্মা অভিভূত হয়। সে ওই চিত্র দুই কোটী স্বর্ণমুদ্রা দ্বারা ক্রয় করিয়া লইল ও তাহার সমীপে বসিয়া নিরবধি অশ্রুপাত করিতে লাগিল । ইহার ফলে দৃপ্তসেনের চিত্তশুদ্ধি ঘটিল। সে নানাবিধ সংবাদপত্র ও চ্যানেল [৫] প্রতিষ্ঠা করিয়া দেবীর মহিমা প্রচার করিয়া আপন পাপঃস্খালন করিতে লাগিল । উপরন্তু অনুশোচনার অনলে দগ্ধ হইয়া সে আপন অভিপ্রায়ে স্বেচ্ছায় কারাগৃহে গমন করিল।
এতৎসত্বেও দুর্বৃত্তজনে কুৎসা প্রচার করিতেছিল যে প্রতারণা দ্বারা লব্ধ অর্থ ডেলো বাংলোয় দেবীর আরাধনার সময় সেই অর্থ দেবীর পদতলে নিবেদিত হইয়াছে। সেই প্রচার এমন স্তরে পৌঁছিল যে দেশের অনুসন্ধানসংস্থা সিবিআই আসিয়া দেবীর এক স্থুলদেহ উপাসক অনঙ্গমিত্রকে মদিরামত্ত অবস্থায় হেপাজতে লইয়া গেল। তাহার পর একে একে তপস্বীপাল, দীপবন্দ্য ইত্যাদি পার্শ্বসহচরদের আটক করিল। একান্ত অনুগত অনুচরদের এহেন লাঞ্ছনায় দেবী অত্যন্ত কুপিত হইলেন, তবে আর এক ঘনিষ্ঠ সহচর মুকুলক কিরূপে তাহাদের নাগপাশ কাটিয়া বাহির হইয়া আসিল, ইহাই মূল আলোচ্য বিষয় হইল। দেবীর সন্দেহ হইল মুকলক বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া ডেলোর অর্ঘ্য বিষয়ে সিবিআইকে অবহিত করিয়া তাহার বিনিময়ে নিজ স্বাধীনতা ক্রয় করিয়াছে। দেবীর ইঙ্গিতে সকল অনুচরবৃন্দ মুকুলকের সংশ্রব ত্যাগ করিল। উপায়ান্তর না দেখিয়া মুকুলক বিরুদ্ধপক্ষে যোগদান করিল, তথাপি তাহার আপন পুত্র দেবীর প্রতি আনুগত্যে অবিচল রহিল।
ইহার পর রাজ্যব্যপী অদ্ভুত ঘটনা ঘটিতে লাগিল। কখনও বা বিস্ফোরণে প্লীহা চমকিত হইল, কখনও সেতু ভূতলে পতিত হইল, কখনও বা বিশিষ্ট অনুগামীদের উৎকোচ গ্রহণ করিবার চলচ্চিত্র প্রকাশ পাইল। অনুগামীদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ রহিল না যে ইহা এক বিশাল ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। এহেন চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অনুগামীরা কলস ও হন্ডিকা লইয়া রাজপথে অভিনব পদযাত্রা করিল। শুধুমাত্র চিত্রশিল্পী বায়সের ন্যায় উড়িয়া গিয়া নিরুদ্দেশ থাকিলেন। ক্রমশঃ ষড়যন্ত্রকারীরা নিবৃত হইল ও জনসাধারণের স্মৃতি হইতে ঘটনাগুলি লুপ্ত হইল। সর্বত্র শান্তি ফিরিয়া আসিল। দেবীর অনুপ্রেরণায় সারা রাজ্যের বাসিন্দারা উত্তপ্ত তৈলে ব্যসনাবৃত আলু বেগুনাদি সবজি ভাজিয়া জীবিকা নির্বাহ করিয়া অভূতপূর্ব সচ্ছলতায় পরমসুখে দিনাতিপাত করিতে লাগিল।

পাদটীকা
[১] যোগাযোগ রাখিবার বহুবিধ আধুনিক বৈদ্যুতিন মাধ্যম ।
[২] বক্রাকৃ্তি একপ্রকার ধাতব কন্টক, যাহা ছিন্নবস্তু জোড়া দিবার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় ।
[৩] বলপ্রয়োগদ্বা্রা অবৈধভাবে অর্থ আদায়কারী ।
[৪] গৃহনির্মানের উপসামগ্রী সরবরাহকারী সংস্থা যাহারা নিম্নমানের সামগ্রী ক্রয়
করিতে বাধ্য করে ও উপযুক্ত মূল্যের অধিক বলপ্রয়োগ করিয়া সংগ্রহ করে ।
[৫] প্রচারের বৈদ্যুতিন মাধ্যম ।
------------
প্রথম প্রকাশ, ফেসবুক, নভেম্বর ২০১৪
পরিমার্জিত, জানুয়ারি ২০১৯
কপিরাইটঃ শুভাশিস ঘোষাল

২টি মন্তব্য: